• সাম্প্রতিক

    প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য যা জানা একান্ত কর্তব্য-১

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    মুসলিম নর-নারীর জন্য যা জানা একান্ত কর্তব্য

    • সংকলন : আব্দুল্লাহ আল কারআবী
    • অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
    • সম্পাদক : মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
    • প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    তিনটি মূলনীতি
    যা জানা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর একান্ত কর্তব্য
    মূলনীতিগুলো হলো : প্রত্যেকে
    ১) রব বা পালন কর্তা সম্পর্কে জানা।
    ২) দীন সম্পর্কে জানা।
    ৩) নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানা।

    রবকে জানার পদ্ধতি :


    যদি প্রশ্ন করা হয়, তোমার রব বা পালনকর্তা কে?
    তখন উত্তরে বলবে: আমার রব হলেন আল্লাহ, যিনি আমাকে এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতকে তার অনুগ্রহে লালন করছেন, তিনিই আমার একমাত্র উপাস্য, তিনি ব্যতীত আমার অপর কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই।

    দ্বীন জানার পদ্ধতি:


    যদি তোমাকে প্রশ্ন করা হয়, তোমার দ্বীন কী?
    উত্তরে বল : আমার দীন হলো ইসলাম, যার মানে— আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা, তাঁর নির্দেশ অনুসরণের মাধ্যমে স্বীকার করা, এবং আল্লাহর ইবাদতে অন্য কিছুর অংশীদারিত্ব করা থেকে মুক্ত থাকা এবং যারা তা করে, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানার পদ্ধতি:


    যদি তোমাকে প্রশ্ন করা হয় তোমার নবী কে?
    উত্তরে বল, তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যার পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং দাদার নাম আবদুল মোত্তালিব, প্রপিতামহের নাম হাশিম। আর হাশিম কোরাইশ গোত্রের, কোরাইশগণ আরব— যারা ইব্রাহিম আলাইহিস্‌সালামের পুত্র ইসমাইল আলাইহিস্‌সালামের বংশধর।


    দ্বীন এর বুনিয়াদ বা ভিত্তি


    দ্বীন এর বুনিয়াদ বা ভিত্তি দুটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল:
    এক : আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের নির্দেশ দেয়া, এ ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করা, যারা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা, এবং যারা তা ত্যাগ করে তাদেরকে কাফির মনে করা।
    দুই : আল্লাহর ইবাদাতে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করা থেকে সাবধান করা, এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করা, এবং যারা তাঁর সাথে শির্ক করে তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা এবং যারা শির্ক করবে তাদেরকে কাফির মনে করা।

    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (কালেমা তাইয়েবা) মেনে চলার শর্তাবলী 

    এক : কালেমা তাইয়েবার অর্থ জানা।
    অর্থাৎ এ কালেমার দুটো অংশ রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে জানা।
    সে দুটো অংশ হলো:
    কোন হক মা’বুদ নেই
    আল্লাহ ছাড়া (অর্থাৎ তিনিই শুধু মা’বুদ)
    দুই : কালেমা তাইয়েবার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। অর্থাৎ সর্ব-প্রকার সন্দেহ ও সংশয়মুক্ত পরিপূর্ণ বিশ্বাস থাকা।
    তিন : কালেমার উপর এমন একাগ্রতা ও নিষ্ঠা রাখা, যা সর্বপ্রকার শিরকের পরিপন্থী।
    চার : কালেমাকে মনে প্রাণে সত্য বলে জানা, যাতে কোন প্রকার মিথ্যা বা কপটতা না থাকে।
    পাঁচ : এ কালেমার প্রতি ভালবাসা পোষণ এবং কালেমার অর্থকে মনে প্রাণে মেনে নেয়া ও তাতে খুশী হওয়া।
    ছয় : এই কালেমার অর্পিত দায়িত্ব সমূহ মেনে নেয়া অর্থাৎ এই কালেমা কর্তৃক আরোপিত ওয়াজিব কাজসমূহ শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং তাঁরই সন্তুষ্টির নিমিত্তে সমাধা করা।
    সাত : মনে-প্রাণে এই কালেমাকে গ্রহণ করা যাতে কখনো বিরোধিতা করা না হয়।

    কালেমা তাইয়েবার যে সমস্ত শর্ত বর্ণিত হলো, তার সমর্থনে কোরআন ও হাদিস থেকে দলিল প্রমাণাদি:

    প্রথম শর্ত:

    কালেমার অর্থ জানা।
    এর দলিল : আল্লাহর বাণী:

    فَاعْلَمْ أَنَّهُ لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ
    “জেনে রাখুন নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া কোন হক মা‘বুদ নেই।” [সূরা মুহাম্মাদ: ১৯]।
    আল্লাহ আরও বলেন:.........................

     বিস্তারিত পড়তে নীচের লাল বাটনে ক্লিক করুন।
    👉 👉 পোস্টটি পড়ে যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকার হয় তাতেই আমরা সার্থক ও কৃতজ্ঞ হব। পোস্টটি ভাল লাগলে দয়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না আশা করি। হতে পারে এই কাজে আপনার কয়েক সেকেন্ড মূল্যবান সময় ব্যয়-দেশের আরো দশজন উপকৃত হবার অন্যতম উপলক্ষ। আর হ্যাঁ, এ বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকলে নীচের কমেন্ট বক্সে নির্দ্বিধায় কমেন্ট করুন। আমরা আপনাদেরকে সাহায্য করার জন্য সদা প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ।

     মনে রাখবেন, জ্ঞান বিতরণ করলে জ্ঞান কমেনা বরং বাড়ে। যেখানেই থাকুন নিরাপদে থাকুন-থাকুন শান্তিতে।

    পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Visit our video blog



    "মন-প্রান-হ্রদয় দিয়ে; এগিয়ে চল প্রযুক্তি নিয়ে"
    your photo name

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad